Monday, May 14, 2018

আধুনিক বাবু-ভদ্রলোক চরিত্র

২৯ বৈশাখ
এই দিনে কয়েক বছর আগে বাবু-ভদ্রলোক অভিজাতদের রাজত্ব শেষ হয়েছিল,
স্বজাতির ক্ষমতা যাওয়ায় তারা আজ বাংলা রাজ্যে মমতার ওপর ক্ষিপ্ত...
সেই বাবু অভিজাত ভদ্রলোকদের চরিত্র বিশ্লেষণ,
Dipankarদার লেখার সূত্রে জোড়া গেল...
যারা শ্রম করতে ঘেন্না করে,
শ্রমিকদের ঘেন্না করে,
মুখে যারা অন্ন তুলে দেন, ফুটিফাটা মাঠে যারা অসম্ভব মমতায় জীবন ফলান, পরিবেশকে যাঁরা হাতের তালুর মত চেনেন, সেই অসাধারণ দক্ষ, জ্ঞানী, প্রজ্ঞানবাহী মানুষদের চাষা বলে তুচ্ছ করে,
উদ্বৃত্ত শ্রমের ওপর যারা বসে বসে বসে খায় সেই কর্পোরেটদের পুজো করে,
জ্ঞান আর শিক্ষা বললে কর্পোরেট নির্ভর বিদ্যালয় বোঝায়, তার বাইরে সব গাঁইয়া,
যারা দক্ষতা বলতে গাঁটের কড়ি খরচ করে শেখা কর্পোরেটদের জন্যে তৈরি দক্ষতাকেই দক্ষতা বলে,
যাদের কাছে প্রযুক্তির মানে বৈদ্যুতিক প্রযুক্তি, তার বাইরে সব কিছুই প্রাচীন, অকার্যকর,
যারা রাষ্টযন্ত্রের পায়ে বলি প্রদত্ত,
যারা সমাজের সামরিকীকরণে উদাত্ত,
যারা সাম্রাজ্য তৈরি করে দেশকে পদদলকিত করাকে কলার তোলা কাজ বলে মনে করে,
নিজেরা সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়ে অন্যদের প্রান্তিক সংখ্যালঘু বলতে ভাল বাসে,
পশ্চিমের সব ক্ষমতার ভাষ্যকে যারা নিজের দের ভাষ্য বলে মনে করে - এমন কি পশ্চিম মতে বিপ্লব রপ্তানিও যাদের কাছে কাম্য,
এমনকি প্রাচ্যবিদ্যাও যাদের কাছে গ্রহণযোগ্য তত্ত্ব,
যাদের অর্থনীতি বলে চাষ করা ছেড়ে দিয়ে কেন্দ্রিভূত শিল্প করা উন্নতির লক্ষণ,
যারা মনে করে যে কোন সামাজিক বিধি নিষেধ, অর্থাৎ কোন মরশুমে কি কি খাওয়া নিষেধ ইত্যাদি উন্নতির পক্ষে ক্ষতিকর,
যারা নিজেদের ভাষা ছেড়ে বিজাতীয় ভাষায় আলাপ করাকে সভ্যতার পরাকাষ্ঠা বলে মনে করেন...
---
তারাই বাবু-ভদ্রলোক।

No comments: