Tuesday, December 5, 2017

গরীব কাহারে কয়৩০ উন্নয়নের বিশ্ব রাজনীতি তত্ত্ব

এনকাউন্টারিং ডেভেলাপমেন্টঃ দ্য মেকিং এন্ড আন্মেকিং অব দ্য থার্ড ওয়ার্লডঃ আর্তুরো এসকোবারএর বই থেকে

তৃতীয় অধ্যায়
এই অধায়ের প্রথম অংশে আমি অর্থনীতি আর বিজ্ঞানকে কৃষ্টিগত প্রসঙ্গে বোঝার চেষ্টা করব, সে ধরণের কিছু কাজও হয়েছে২। দ্বিতীয় অংশে আমি উন্নয়নের অর্থনীতি বাজার মাত করার আগে ধ্রুপদী এবং নব্য ধ্রুপদী অর্থনীতি, বিশেষ করে যে ধারনাগুলি সম্বল করে উন্নয়নের অর্থনীতির উদ্ভবের প্রতিটি ইঁট গাঁথা হয়েছে সেগুলি। তৃতীয় অংশে আমি আলোচনা করব চল্লিশ, পঞ্চাশ এবং ষাটের দশকের উন্নয়নের অর্থনীতির মূলসূত্রগুলি; এখানে আলোচনা করব উন্নয়নের অর্থনীতির প্রয়োগিক দিক হিসেবে পরিকল্পনার উদ্ভবকে। চতুর্থ অংশে তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন popular group এর মারজিনাল মডেলগুলি বিষয়ে অর্থনৈতিক নৃতত্ত্বের সাম্প্রতিক কাজকর্মগুলি বিচার করব; এখানে আমরা আলোচনা করব কৃষ্টিগত রাজনীতির গুরুত্ব বিষয়ে তৃতীয় বিশ্বের গোষ্ঠীগুলির মূলস্রোতের অর্থনীতি এবং বহুবিধ স্থানীয় মডেল(manifold local models) বিষয়ে প্রতর্ক। এই অধ্যায় শেষ করব এই ইঙ্গিত দিয়ে যে অর্থনীতি আর উন্নয়নের বিকল্প ভাবনায় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক রাজনীতির প্রেক্ষিতের প্রতর্কে অর্থনীতির আলোচনার মাত্রা বদলের কি ভূমিকা। 

কৃষ্টি হিসেবে অর্থনীতি
অর্থনীতিকেরা যে তাদের জ্ঞানচর্চাকে সংস্কৃতি প্রতর্ক হিসেবে দেখেন না, এ তথ্য স্পষ্ট। দীর্ঘ এবং বাস্তব জনোচিত ঐতিহ্যে এই জ্ঞানচর্চাকে বিশ্ব নিরপেক্ষ হিসেবে দেখেন এবং এর মধ্যে যে সত্য লুকিয়ে রয়েছে সেটাও মনে করেন। না, তারা নয়, প্যাট্রিসিয়া উইলিয়ম আইন নিয়ে বিষয়ে  বলেছিলেন, এবং এটা অর্থনীতির জন্য সমানভাবে সত্য ‘an imposition of an order—the ironclad imposition of aworld view”’। উইলিয়ম লিখছেন, At issue is a structure in which a cultural code has been inscribed। অর্থনীতি বিষয়ে এই ধারনাটি উদ্ভুত হতে অনেক সময় লেগেছে, দার্শনিক চার্লস টেলর বলছেন, There are certain regularities which attend our economic behaviour, and which change only very slowly. . . . But it took a vast development of civilization before the culture developed in which people do so behave, in which it became a cultural possibility to act like this; and in which the discipline involved in so acting became widespread enough for this behaviour to be generalized. . . . Economics can aspire to the status of a science, and sometimes appear to approach it, because there has developed a culture in which a certain form of rationality is a (if not the) dominant value. (Taylor 1985, 103).
তাহলে অর্থনীতির কাঠামোয় সংস্কৃতির সঙ্কেতগুলি কি কি? অর্থনীতর প্রয়োগবিদ্যা বিষয়ে আজকে আমাদের যে ধারণা, তাতে সভ্যতার বিপুলতম বিবর্তনের প্রভাব কোথায়? এর উত্তর অবশ্যই খুবই জটিল, এবং এখানে সেই ইঙ্গিতগুলি ছেড়ে যেতে পারি মাত্র। ইওরোপিয় ইতিহাসে অর্থনীতির বিকাশ, স্থিতিকরণের যে প্রভাবশালী দৃষ্টিভঙ্গী উঠে আসে তা আধুনিকতার ইতিহাসের খুব মৌলিক একটি তত্ত্ব। অর্থনীতি কেন্দ্রিক আধুনিকতার নৃতত্ব, আমাদের বাজার, উৎপাদন এবং শ্রমের গল্পের দিকে নিয়ে যায়, যেগুলি আদতে পশ্চিমি অর্থনীতির মৌলকাঠামো। এই গল্পগুলিকে প্রশ্ন করা হয় নি; সেগুলি যেন জীবনকে দেখার স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক উপায়, ‘যেমন ঘটে থাকে’। তবুও অর্থনীতি, বাজার, উৎপাদনের মত শব্দগুলির ধারণা ঐতিহাসিক উদ্ভব। তাদের ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায়, তাদের ঠিকুজি কুলুজি(genealogies)র সীমা খুঁজে পাওয়া যায়, সত্য আর ক্ষমতা বিষয়ে তাদের কলকব্জাগুলি আজ হাট করে খোলা। ছোটকরে বললে পশ্চিমী অর্থনীত বিদ্যাকে নৃতাত্ত্বিকতার ধাঁচে ঢেলে ফেলে বলা যায় যে তারা নির্দিষ্ট কিছু প্রতর্ক আর প্রয়োগবিদ্যা নির্ভর করে বেড়ে উঠেছে যা কৃষ্টির ইতিহাসে অদ্ভুত(peculiar) হিসেবে গণ্য হয়।

পশ্চিমি অর্থনীতিকে একটা উৎপাদন ব্যবস্থা হিসেবে চিন্তা করা যায়। নৃতত্ত্ব আর আধুনিকতার দৃষ্টিতে পশ্চিমী অর্থনীতি হল উৎপাদন, ক্ষমতা আর অর্থের মেলবন্ধনগত সঙ্গঠন। উন্নয়ন আর আধুনিকতার বিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত এই তিনিটি ব্যবস্থাপনা, অষ্টাদশ শতকের শেষপাদে বিকশিত হয়। মানুষ কিভাবে উৎপাদক হয়ে উঠল, সেটিকে বোঝার এটি একটি কৃষ্টিগত আঙ্গিক। অর্থনীতি কোনভাবেই একটা material entity নয়।  It is above all a cultural production, a way of producing human subjects and social orders of a certain kind। যদিও পশ্চিমি অর্থনীতির উৎপাদনের স্তর বেশ জানা – বাজারের বৃদ্ধি, উৎপাদক শক্তিগুলির পরিবর্তন, উৎপাদনের সামাজিক সম্পর্কের বিবর্তন, দৈনন্দিনের বাস্তবিক জীবনের পরিবর্তন, জমি, শ্রম এবং মুদ্রার পণ্যায়ন – কিন্তু পশ্চিমী অর্থনীতর কৃষ্টির ইতিহাসের প্রতর্কে ক্ষমতা আর তার অর্থের(signification) আলোচনা প্রায় হয়ই বলা চলে। 

No comments: