Wednesday, June 11, 2014

Application to Mayor of Kolkata

To
Kolkata Municipal Corporation                                                                                         Date: 11th June 2014
Kolkata
Kind Attention: The Honourable Mayor

Dear Sir
Greetings from LokFolk Consortium!!
We take this opportunity to introduce ourselves as a consortium dedicated to research and promote traditional Arts & Crafts with focus in Bengal.
Our constituents are such organisation as Bongio Paromporik Karu O Bostro Silpi Sangha and Bongio Paromporik Obhikor Silpi Sangha, which are essential federation of artisans and craft person and performing artists.
We wish to further take this opportunity to appeal to you and your esteemed institution for the following:
1. That we are desirous to organise Bengal Expo – An event of exhibition, sale and performance foregrounding and thematic of districts of West Bengal and its cultural heritage. Conceived as a 10days event, preceding Mahalaya, the event is expected to dually showcase Bengali Culture as well as generate a handsome commerce, which would directly affect the artisans and craft person and performing artists.
2. Further to Bengal Expo, we wish to create a Bengal Corner – a prominent semi-permanent gazebo structure preferably within a museum, again serving multipurpose causes like exhibition, sale, education et al.
Apropos the above, we hereby request you to kindly look into the matter and extend the service of your kind office. As of now, our idea is to hold the Bengal Expo at the Star Theatre and erect the Bengal Corner at the Kolkata Corporation, Chaplin Square. Further considering the scale and scope of the above project, we would request you to consider incorporating your esteemed institution in the project in whatever possible way(s) you can. We are open to adoption, association, sponsorship or any other possibilities.
We look forward to your active participation and support of your kind office.
Thanks and regards,
With best wishes!!

LokFolk Consortiums

Kolkata 

Kalaboti Mudra | Quotient Partner Consultants | Nagorik Udhyog (Dhaka) | Pothchola Trust

Monday, June 9, 2014

বৈমানিক শাস্ত্রে যে সব বৈজ্ঞানিক শাস্ত্রের উল্লেখ রয়েছে৩, Scientific Works Referred to the Vymanika Shastra3

শাননির্নয়-চন্দ্রিকা(শান=পাট)
নালিকা-নির্ণয়
সন্ধানা-পাটলম
ঋতু-কল্পম
উদ্ভিজ্জতত্ত্ব-সারায়নী
মূলিকর্ক-প্রকাশিকা
মণিপ্রদীপিকা
মণিকল্প-প্রদীপিকা
নিরস-কল্পম
লোহা-সর্বস্বম- মহাঋষি জৈমিনী
গতিনির্ণয়-অধ্যায়
ক্ষেত-সর্বস্বম-  মহাঋষি জৈমিনী
ক্ষেত-সংরহম
চারণীবন্দনা
শব্দ-মহাবোধী
যন্ত্র-প্রকরণম
শৌনক্যীয়ম- মহাঋষি শৌনক
বর্ণ-সর্বস্বম
অগতত্ব-লহরী – অশ্বালারায়ণ
প্রপঞ্চ-লহরী – মহাঋষি বশিষ্ট

সূত্র
জি আর জোয়সার, মহাঋষি ভরিদ্বাজের বৈমানিক শাস্ত্র, পণ্ডিত টি সুব্বারায়া শাস্ত্রীর ভূমিকাসহ
কৃতক এরোপ্লেন- পাইলট, মিররস এন্ড লেন্সেস, মেটালস(সুব্বারায়া শাস্ত্রীর জোড়াপাতা)

বৈমানিক শাস্ত্রে যে সব বৈজ্ঞানিক শাস্ত্রের উল্লেখ রয়েছে২, Scientific Works Referred to the Vymanika Shastra2

সৌদামিনীকলা(ইলেক্ট্রনিক শাস্ত্র)
ছায়াপুরুষ শাস্ত্র
পাত-সংস্কারম রত্নকরম
কল্প-সূত্রম
অশন-কল্পম(খাদ্য নির্দেশ)
বিষনির্ণয়অধিকার – মহাঋষি শতপদ
লল্ল কারিকা – মহাঋষি লল্ল(ডায়েট নির্দেশ)
পাক-সর্বস্বম
মণিভদ্র-কারিকা
লোহাতন্ত্র(ধাতুবিদ্যা) – শকটায়ন
লোহা-কল্পম
সংস্কার-দর্পনম(সংস্কার=পরিস্কার)
মুষা-কল্পম(মুষা=ক্রুসিব্‌ল – জং ছাড়া লোহা তৈরি প্রযুক্তি)
কুণ্ড-কল্পম(কুণ্ড = ফার্নেস)
ভস্ত্রিকা-নিবন্ধন(ভস্ত্রিকা = হাপর)
মুকুর-কল্পম - মহাঋষি লল্ল
প্রপংচ-শরণম – লল্লাচার্য
স্বতসিদ্ধ-ন্যায় – মহাঋষি বশিষ্ট
শৌনক-সূত্রম – মহাঋষি শৌনক
ক্রিয়া-সারম
শক্তি-সর্বস্বম
শক্তি-বীজম
শক্তি-কৌস্তুভম
গোপথ-কারিকা
মণি-প্রকরণম
ত্বং-নির্ণয়াধিকরম(ত্বক বিষয়ক শাস্ত্র)
ক্ষীরিপট-কল্পম(ক্ষীর=দুধ)
প্ট-প্রদীপিকা

আগতত্ত্ব-নির্ণয়ম

বৈমানিক শাস্ত্রে যে সব বৈজ্ঞানিক শাস্ত্রের উল্লেখ রয়েছে১, Scientific Works Referred to the Vymanika Shastra1

বাল্মীকি গণিত – মহাঋষি বাল্মীকি
যন্ত্র-সর্বস্বম – মহাঋষি ভরদ্বাজ
পরিভাষা-চন্দ্রিকা
নামার্থ-কল্পক – মহাঋষি অত্রি
উত্তর-তাপনীয়
শৈব্যা-প্রশ্ন
কথক
মণ্ডুক্য
বিমান-চন্দ্রিকা – মহাঋষি নারায়ণ
ব্যোমযন্ত্র-তন্ত্র – মহাঋষি শৌনক
যন্ত্র-কল্প – মহাঋষি গর্গ
যন্ত্র-বিন্দু – মহাঋষি বাচস্পতি
ক্ষেতায়ন-প্রদীপিকা – চক্রয়ানি
ব্যোমযান-অর্কপ্রকাশিকা – ধুন্ধিনাথ
রহস্য-লহরী – আচার্য লল্ল
মন্ত্রাধিকরম
বায়ুতত্ত্ব-প্রকরণম
শক্তি-তন্ত্রম – মহাঋষি অগস্ত্য
মেঘোৎপত্তি-প্রকরণম – মহাঋষি অগিরস
আকাশতন্ত্রম – মহাঋষি ভরদ্বাজ
ধুম-প্রকরণম – মহাঋষি নারদ
তাল-প্রকরনম
করক-প্রকরনম – মহাঋষি অত্রি
অংশু বোধিনী - মহাঋষি ভরদ্বাজ
দর্পন-প্রকাশনম
সদগর্ভ-বিবেকম
রিঘ্রিদয়ম - মহাঋষি অত্রি
শব্দ-প্রকাশিকা

প্রাচীন ভারতে বৈমানিক বিদ্যা - বৈমানিক শাস্ত্র প্রকাশের ইতিহাস২, Aeronautics Literature In Ancient India - How The Litreure of Baimanik Sashtra Came to Light2

জনগনের চাহিদা দেখে আমরা নতুন করে সেটির ইংরেজি অনুবাদ করতে বসলাম, সেই শাস্ত্রকে বিশ্লেষণ করে, বিমানের ছবি আঁকার চেষ্টা করলাম যাতে সেই বিদ্যাটি সরলভাবে সকল ভাষাভাষীর গোচরীভূত হয়।
আমার তখন ৮১ বছর বয়স। সেই বয়সে আমাদের দেশের জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চাকে নতুন করে প্রকাশ করতে নিদারুণ এক পরীক্ষায় বসতে হল। ছাপা নতুন করে শুরু হল। তখন শুধু সংস্কৃত নয় সঙ্গে জুটেছে ইংরেজিও, ফলে বেশ কয়েকবার ধরে ইংরেজি এবং সংস্কৃত অনুবাদের ছাপার ভুলগুলি সংশোধন করা শুরু হল। ছাপার অনেক বর্ণও তৈরি করতে হল। এ ধরণের পুঁথি ছাপতে প্রচুর পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন। কিন্তু কে দেবে! আমরা আমাদেরই ক্ষুদ্র সঞ্চয় ভেঙে ছাপার কাজ, ছাপাখানার নানান সংস্কারের করে যেতে শুরু করলাম। এবং ভগবানের সকরুণ ইচ্ছায় বইটি শেষ পর্যন্ত প্রকাশ হতে পারল, ৯০ বছর পর।
বৈমানিক শাস্ত্রে ৬০০টি স্তবক, ৩০০০টি শ্লোক রয়েছে। পুরনো সংস্কৃত ভাষায় বিমানের নানান প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।
পণ্ডিত সুব্বারায়া শাস্ত্রী নানান ধরণের প্রচুর শাস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন। তিনি ছিলেন সহজ, সরল, সাধারন কিন্তু প্রাচীন ধরনের এক ব্যক্তিত্ব। তিনি ভারতীয় নানান বিদ্যার চলন্ত বিশ্বকোষ ছিলেন। তাঁর জীবনের উদ্দেশ্য ছিল আধীত বিদ্যাকে আগামী দিনের জন্য উতসর্গ করে যাওয়া। তিনি সক্রেটিসের মত দারিদ্র্যের অন্তুরালে জীবন যাপন করেছেন। ব্যক্তিগত সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য মুহূর্তমাত্র ব্যয় করেন নি।
১৮৮৫ সালে আরেক নির্লোভ ব্যক্তিত্ব বি সূর্যনারায়ণ রাও তাঁর যোগ্য অনুগামী হন। ১৯১১ সালে তিনি মাদ্রাজ থেকে ভৌতিক কলা নিধি নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করতে শুরু করেন। এই পত্রিকায় তিনি বিভিন্ন গবেষকের নানান উতসারিত বিদ্যার নির্যাস প্রকাশ করতে শুরু করেন। এবং ভগবানের পরম করুণায় এই মহাগুরুত্বপূর্ণ পত্রিকার ছ’টি সংখ্যা আমাদের হাতে এসে পড়ে। ১ আগস্ট ১৯১৮ সালে তিনি তাঁর শিষ্য ভেঙ্কটচলা শর্মাকে বৈমানিক শাস্ত্র বলতে শুরু করেন এবং শর্মা ২৩টি খাতায় সেই আলোচনা লেখা শেষ করেন ২৩ আগস্ট ১৯২৩।
মহাঋষি ভরদ্বাজের বৈমানিক শাস্ত্র প্রকাশের জন্য তৈরি হল। তিনি বুদ্ধি করে একজন প্রয়ুক্তি আঁকিয়ে(ড্রাফটসম্যান)কে সঙ্গে নিয়ে তাঁর নির্দেশমত বিমানের নানান ছবি আঁকিয়ে নিয়ে পুঁথির শেষে জোড়াপাতা করে জুড়ে দেন।
দেশে তখন গান্ধিজীর অসহযোগ আন্দোলনের ঢেউ লেগেছে। পন্ডিত সুব্বারায়া শাস্ত্রী জেলে গেলেন।  বহু লড়াই করে তাঁর মুক্তি হলেও তাঁকে নজরবন্দী করে রাখা হল। ১৯২৮ সালে তিনি দ্বারভাঙ্গার মহারাজকে পুঁথিটির প্রকাশনার জন্য অর্থ সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখলেন। মহারাজা সে আবেদনে কর্ণপাত করলেন না। ভগ্নহৃদয় তিনি মধ্য ৩০এর দশকে ইহলোক ত্যাগ করলেন।

এর পরের ২০ বছর এই শাস্ত্রটি আগলে রেখেছিলেন তাঁর কন্যা এবং ভেঙ্কটরাম শাস্ত্রী। তারপর সব ইতিহাস।

প্রাচীন ভারতে বৈমানিক বিদ্যা - বৈমানিক শাস্ত্র প্রকাশের ইতিহাস১, Aeronautics Literature In Ancient India - How The Litrature of Baimanik Sashtra Came to Light1

এমত এক শাস্ত্রকে মহাকালের গর্ভ থেকে উদ্ধার করলেন মহীশূরের জি আর জোসিয়ার মশাই। তাঁর লব্জে উল্লেখ করা যাক তিনি কি ভাবে এই শাস্ত্রটি উদ্ধার করলেন।
ভগবানের অসীম কৃপায় আমি এই পুঁথিটি আমার হাতে আসে। ১৯৫১ সালের ২৮ জুন, মহীশূরের পূজ্যপাদ মহারাজা ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অন স্যাংস্কৃট রিসার্চ স্থাপন করেন। এটি একটি খুব পূণ্য সময়ে স্থাপিত হয়েছিল সেটি স্থাপিত হওয়ার পরেই তাঁর সৌরভ দেশে বিদেশের কোণে কোণে ছড়িয়ে যায়।
ব্যাঙ্গালোর শহর থেকে এক আমন্ত্রিত ব্যক্তি মহাঋষি ভরদ্বাজের বৈমানিক শাস্ত্র নামক পুঁথিটির প্রথম কয়েকটি পৃষ্ঠা, একটি খাতায় নকল করে নিয়ে এসেছিলেন। এটি দেখে আমরা বিমোহিত হয়ে পড়ি। বোঝা যায় এটি বহু পুরনো একটি খাতা, যা কালের নানান প্রভাবে প্রায় জীর্ণ হয়ে পড়েছে। এই পুঁথিটি শ্রীমন্মহারাজা এবং তাঁর প্রধানমন্ত্রী শ্রী কে সি রেড্ডিকে দেখিয়ে পুঁথি প্রদর্শনশালায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিই।
প্রদর্শনী শেষ হলে পুঁথির স্বামীকে সেই পুঁথিটি ফেরত দেওয়া হয়। তখন তিনি সেটি পণ্ডিত সুব্বারায়া শাস্ত্রীর পুঁথিগারের অধ্যক্ষ ব্যবহারজীবী ভেঙ্কটরমণ শাস্ত্রীকে অর্পণ করেন। শাস্ত্রীজীকে বলি এই পুঁথিটি আমাদের প্রকাশনা করার অনুমতি দেওয়া হোক। পরের দিকে আমরা যখন ওনাকে যোগাযোগ করি তিনি সর্বসম্মতি প্রদান করেন এবং আরও কয়েকটি পুঁথি হস্তান্তরেরও কথা হয়।
পুঁথিটি প্রথমে সংস্কৃত ভাষায় ছাপা শুরু করি। কিছুদূর আগ্রসর হওয়ার পর প্রায় বিনা মেঘে বজ্রাঘাত। যিনি আমাদের পুঁথিটি দান করেছিলেন, আমাদের খুব কঠিন ভাষায় চিঠি লিখে অভিযোগ করলেন আমরা ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশ্য নিয়ে এই পুঁথিটি ছাপছি। যদিও আমাদের এধরণের কোনও উদ্দেশ্য ছিলনা, তবুও বিতশ্রদ্ধ হয়ে জানালাম, তিনি যেন সেই পুঁথিটি ফেরত নিয়ে যান। ছাপাটি আমরা মাঝপথেই বন্ধ করে দিলাম। 
ইতোমধ্যে মহীশুরের শ্রীমন্মহারাজা একদিন আমাদের চায়ের নেমন্তন্ন করে পুঁথিটি দেখতে চেয়ে বললেন তিনি সেটি ভারতের জাতীয় বিজ্ঞানী শ্রী থ্যাকারকে দেখাবেন। আমরা তাঁকে জানালাম পুঁথিটি সংস্কৃততে রচনা। আর শাস্ত্রে অধিকারী-আনধিকারী ভেদ রয়েছে। সেটি উপযুক্ত পণ্ডিতকে দিয়ে অনুবাদ করাতে হবে। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমান করতে হবে, গবেষণা করতে হবে, তবেই সেই বিষয়টি সর্বসমক্ষে আনা যেতে পারে।

ব্যাঙ্গালোরের চারজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব সায়েন্সএর বিদ্যুৎ প্রয়ুক্তি (পাওয়ার এঞ্জিনিয়ারিং) বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান, ডঃ এম এ থিরুনারায়ণের পত্র নিয়ে, এ বিষয়ে আমাদের কৈফিয়ত চেয়ে বসেন। 

প্রাচীন ভারতে বৈমানিক বিদ্যা২, Aeronautics Literature In Ancient India2

প্রথম স্তবকে তিনি ওঁ শব্দ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উত্তর-তাপনীয়, শৈব্যাপ্রশ্ন, কথক এবং মাণ্ডুক্য প্রভৃতি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাস্ত্রের উল্লেখ করেছেন উল্লেখ করেছেন যার দ্বারা মানুষের মোক্ষ প্রাপ্তি হয়। মহাঋষি ভরদ্বাজ বলতে চাইছেন, বৈমানিক শাস্ত্র আনুসারে যদি বিমান বা উড়ন্ত জাহাজ তৈরি করা যায় তাহলে মানুষ ভগবানের নিকটে পৌছবে, এবং পরমাত্মার সান্নিধ্য লাভ করবে।
আতীতের যেসব আচার্যের উল্লেখ মহাঋষি ভরদ্বাজ করেছেন তাঁরা হলেন নারায়নরূপী বিশ্বনাথ, শৌক্ত, গর্গ, বাচস্পতি, চক্রয়ানি, ধুন্ধিনাথ যারা যথাক্রমে বিমানচন্দ্রিকা, ব্যোমযান-তন্ত্র, যন্ত্র-কল্প, যান-বিন্দু, ক্ষিত-যান প্রদীপিকা এবং ব্যোমযান-অর্কপ্রকাশএরমত যুগান্তকারী শাস্ত্র রচনা করেছেন।
মহাঋষি ভরদ্বাজ বিমান শব্দটিকে সংজ্ঞা নির্নয় করতে গিয়ে বলেছেন, বেগ-সমায়াত্‌ বিমান অণ্ডযানম(সুত্র ১) অর্থাৎ পাখির গতিবেগের আনুরূপ যার তাঁর নাম বিমান।
বৌধানন্দ বৃত্তি
অণ্ডজ কথার অর্থ ডিম থেকে জন্মানো প্রাণী, যারা নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী উড়তে পারে। মহাঋষি ভরদ্বাজ বলছেন পাখির গতিবেগ আনুসরণ করে যে বস্তু উড়তে পারে তাকেই বিমান বলা হবে।
লল্লাচার্য বলছেন, পাখির গতিবেগে যে বস্তু উড়তে পারে তাঁর নাম বিমান।
আচার্য নারায়ণের উক্তি, পাখিরমত ইচ্ছে অনুযায়ী যে বস্তু পৃথিবী, জল আর বাতাসের গতিবেগে উড়তে পারে তাই বিমান।
শঙ্খ বলছেন, বৈমানিক শাস্ত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, য়ে বস্তু এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বাতাসের ভরে উড়তে পারে তাই বিমান।
বিশ্বম্ভরের সূত্র, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে বস্তু বাতাসে ভেসে এক দেশ থেকে অন্য দেশ, এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপ, এক বিশ্ব থেকে অন্য বিশ্বে পরিভ্রমণ করতে পারে তাকেই বিমান বলে।

বিমানের সংজ্ঞা নির্দেশ করে মহাজ্ঞানীরা এবারে বিমানের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন। 

প্রাচীন ভারতে বৈমানিক বিদ্যা১, Aeronautics Literature In Ancient India1

বৈমানিক প্রকরণ নামক শাস্ত্রের মুখবন্ধে মহাঋষি ভরদ্বাজ বলছেন, অতীতের নানান মুনির নানান শাস্ত্র, যতদূর সম্ভব আত্মস্থ এবং অধ্যয়ন করে মানব জাতির জন্য, সমস্ত আনন্দের উৎস বেদের আত্মা মন্থন করে, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে, এক বিশ্ব থেকে অন্য বিশ্বে ভ্রমনের জন্য আটটি অধ্যায়ের, ১০০টি বিষয় সমৃদ্ধ, ৫০০টি সূত্র সম্বলিত গুহ্য এই শাস্ত্রটি উপস্থাপন করছি।

বৌধানন্দের সূত্র
আমি দেবাদিদেব মহাদেব এবং তাঁর অনুচরবৃন্দ, শিক্ষার দেবী সরস্বতী, শুভকর্মের দেবতা গণপতি, আমার স্বর্গত পিতা-মাতা, আর মহাঋষি ভরদ্বাজের পায়ে প্রণাম করি। আমার নিজের যুক্তি-বুদ্ধি ছাড়াও আমি মহাঋষি বাল্মিকীকৃত অঙ্ক, পরিভাষা চন্দ্রিকা এবং নামার্থকল্প নামক পুস্তক সম্যকরূপে অধ্যয়ণ করেছি। আমি স্বামী বৌধানন্দ, যুবকদের বিষয়টি প্রাঞ্জল করে বুঝিয়ে বলতে মহাঋষি ভরদ্বাজের বৈমানিক বিদ্যার গুহ্য সূত্র বিশ্লেষণ করে বৌধানন্দ বৃত্তি রচনা করছি।

মুখবন্ধেই মহাঋষি ভরদ্বাজ ঐতিহ্য মেনে পারম্পরিকভাবে ভগবানের আরাধনা করছেন যাতে তাঁর এই প্রখ্যাত গুরুত্বপূর্ণ শাস্ত্রটির রচনা সাবলীল গতিতে শেষ হয়। পরমাত্মার কৃপায় বেদের সব ক’টি ধারায় প্রামাণ্য আধিকার লাভ করে, আতীতের প্রখ্যাত আচার্যদের সমস্ত শাস্ত্র আধ্যয়ন করে মহাঋষি ভরদ্বাজ বেদের সুক্তগুলির অন্তস্থল থেকে অমৃত মন্থন করে যে মাঠা অর্জন করেছেন, তার সমস্ত নিষ্কর্ষ তিনি মানব সমাজের উপকারার্থে উপস্থিত করেছেন যন্ত্রসর্বস্ব নামক শাস্ত্রে। এই শাস্ত্রের চল্লিশতম অধ্যায়ের আটটি অধি অধ্যায়ে, ১০০টি বিষয়ে, ৫০০টি সূত্রে বৈমানিক বিজ্ঞান বিষয়ে বিশদে আলোচনায় তিনি বিভিন্ন ধরণের বিমান তৈরি তার ব্যবহার উল্লেখ করেছেন।

কেরলের জোতির্বিদ অচ্যুত, Acyuta The Astronomer of Kerala

কেরলে অচ্যুতের পরিচয় হল ত্রিকন্ত্যিয়ুর অচ্যুত পিসারতি। ত্রি-ক-কন্তুয়ুর, সংকৃতে কুণ্ডপুর, দক্ষিণ মালাবারের তিরুরের কাছে একটি জনপদ। এখানে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিসারতি তাঁর জাতির নাম। তাঁর জাতির মানুষেরা মন্দিরের বাইরের কাজগুলি (এক্সটারনাল ফাংশানারিজ) করতেন। তিনি ব্যাকরণ এবং জ্যোতির্বিদ্যায় অদ্ভুত পারদর্শী ছিলেন। তিনি স্বয়ং জয়স্থদেবের শিষ্য এবং অচ্যুতের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ভেট্টাটুনাদএর রাজা রবি বর্মা(শ্রীযুক্ত প্রকাশ-বিশ্ব prakasa-visaya)। ভেট্টাটুনাদ আজকের দক্ষিণ মালাবারের পোন্নানি তালুকের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। কবি বাসুদেব, ভৃঙ্গসন্দেশ পুস্তকে অচ্যুতের জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক জ্ঞানের বিষয়ে প্রভূত সাধুবাদ জানিয়েছেন। অচ্যুতের শিষ্য নারায়ন ভর্তৃহরি গুরুর কাছে ব্যাকরণ শিখে বলছেন তাঁর গুরু শুধুই ব্যাকরণ বা জ্যোতির্বদ্যাতেই পারদর্শী ছিলেন না, তাঁর আয়ুর্বেদ আর পোয়েটিক্সএও যথেষ্ট বুৎপত্তি ছিল।
অচ্যুত তাঁর শিক্ষক জীবনে বহু শিষ্য তৈরি করেন। তাদের মধ্যে প্রধানতম শিষ্যরা হলেন মেলপুত্তুর নারায়ণ  ভর্তৃহরি, যিনি আজও কেরলের অন্যতম প্রধান কবি এবং তিনি প্রক্রিয়াসর্বস্ব নামে পুঁথি ছাড়াও বহু গ্রন্থের প্রণেতা। এছাড়াও রয়েছেন অচ্যুতের বেশ কিছু প্রখ্যাত ভাবশিষ্য  – ত্রিপনিক্কর পোডুভাল, নব্যয়িককুলত্তু আঝাতি, পুলিমুখাট্টু পোট্টি এবং নেদুমপায়িল কৃষ্ণ আসান। এঁরা অনেক পরে জ্যোতিষ বিষয়ে তাঁর অনেক পুস্তক অনুবাদ করেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকে নিজের সময়ে উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক ছিলেন। শিষ্যদের ঔজ্জ্বল্য আদতে গুরুর প্রতিভাকেই প্রোজ্জ্বল করে তোলে(শিষ্যপ্রসিদ্ধির যশাসে গুরুনাম্‌), এই আপ্ত বাক্যটি অচ্যুতের ক্ষেত্রে অসম্ভব প্রযোজ্য।
সময়
যতদূর সম্ভব তাঁর আবির্ভাবের বছরটি হল ১৫৫০ সাল। তাঁর প্রখ্যাত শিষ্য নারায়ন ভর্তৃহরি ১৫৬০ সালে জন্মান(সূত্র এস ভেঙ্কিটসুব্রমণিয়া আইয়ারের সম্পাদনায়, নারায়ণ ভট্টের প্রক্রিয়াসর্বস্ব)। বিদ্যাত্ম্য স্বরসরপাট নারায়ণ ভর্তৃহরির গুরুর মৃত্যু বিষয়ক পদ্যতে বলছেন তাঁর তিরোধান বছর ১৬২১ সাল।
অচ্যুতের রচনা
প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য রচিত ব্যাকরণ পুস্তক, প্রবেশক-ই অচ্যুতের একমাত্র ব্যকরণ পুঁথি পাওয়া গিয়েছে। জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক পুঁথি স্ফূটনির্ণয়-তন্ত্রএর ছটি অধ্যায়ে তিনি অদ্ভুত দক্ষতায় গ্রহগুলির সংখ্যা নির্ণয় করেছেন। চয়ষ্টকতে তিনি চাঁদের শঙ্কু আকৃতির ছায়ার মাপ নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছেন। এ ছাড়াও করণোত্তম-র পাঁচটি অধ্যায়ের পুঁথি, চার অধ্যায় বিশিষ্ট উপগ্রহ ক্রিয়া-কর্মএ তিনি চন্দ্র-সূর্‍্য গ্রহণের সময় নির্ণয় করেছেন। হোরাসারোচ্চয় (horasaroccaya)তে তিনি শ্রীপতির জাতকপদ্ধতির সাতটি অধ্যায় নিয়ে আলোচনা করেছেন আর সঙ্গমগ্রামের মাধবএর বেনবারোহ(venvaroha)র মালায়লম টিকা রচনা করেছেন।

সূত্র
তাঁর শিষ্য বিষয়ে জানতে ডায়রেক্ট লাইন্স অব এস্ট্রোনমিক্যাল ট্রাডিশন ইন কেরল, কে ভি শর্মা
অচ্যুতের রচনাগুলি জানতে পি এস আনন্তনারায়ণ শাস্ত্রীর কোচিন সংস্কৃত সিরিজ দেখতে হবে
স্ফূটনির্ণয়-তন্ত্র বিষয়ে জানতে কে ভি শর্মার মুখবন্ধ এবং ১০০ নম্বর জোড়াপাতা(এপেন্ডিক্স) দেখতে হবে
চয়ষ্টক বিষয়ে জানতে আগের বইএর ১০ নম্বর জোড়াপাতা দেখতে হবে

করণোত্তম বিষয়ে জানতে কে রাঘবন পিল্লাইএর সম্পাদনায় পুস্তকটি দেখতে হবে

অভ্রকম(হীরা)৩, Abhrakam3

বৌধায়ন মুনি আভ্রকমকে ধাতু সর্বস্ব বলে আভিহিত করেছেন। অভ্র চার প্রকারের সাদা, লাল, হলুদ এবং কালো। সাদা অভ্র ১৬ প্রকারের, লাল অভ্র ১২ প্রকারের কালো অভ্র ১৫ প্রকারের হলুদ অভ্র ৭ প্রকারের- মোট ৫০ প্রকারের অভ্র পাওয়া যায়।
শৌনকেয় বলছেন এই ৫০টি প্রকারের অভ্রকে আবার চারটি জাতিতে বিভক্ত করা যায় ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র। ব্রাহ্মণ অভ্র ১৬টি প্রকৃতির, ক্ষত্রিয় অভ্র ১২টি প্রকৃতির, বৈশ্য অভ্র সাতটি প্রকৃতির, এবং শূদ্র অভ্র ১৫টি প্রকৃতির।
সাদা অভ্রকমঃ ভাভি, অম্বরম, ব্রজকম, শচিস্মাকম, পুণ্ডরীক, বিরিঞ্চিক, বজ্রগর্ভ, কিসম্বরম, স্বরচালে(sowachale), সোমাকম, অমৃতনেত্রম, সায়ত্যমুখ, কুরন্দম, রুদ্রশ্যাম, পঞ্চদরম(pancodaram), আর রুক্মগর্ভ।
লাল অভ্রকমঃ সুন্দরীকম, সম্বরম, রেখাস্যম, ওদুম্বরম, ভদ্রকম, পঞ্চস্যম,  অংশুমুখম, রিক্তনেত্রম(না রক্তনেত্রম rektanetram), মণিগ্রহকম, রোহিনীকম, সোমামস্কম(somaamskam) আর কৌরমিক।
হলুদ অভ্রঃ কৃষ্ণমুখম, শ্যামরেখম, গরলকোষম, পঞ্চধরম, অম্বরীক্ষম, মণিগর্ভম, কৌঞ্চশ্যাম(kuouncaasyam)।
কালো অভ্রঃ গোমুখম, কন্দুরকম, স্বন্দিকম, মুগ্ধ্যম, বিষগর্ভম, মন্দুকম, তৈলগর্ভ, রেখাশ্যম, পার্বনীকম, রাকামসুকম(raakaamsukam), প্রণোদম, দ্রৌণিকম, রক্তবন্ধকম, রসগ্রহকম, ব্রণহরিকম(vranahaarikam)।
উক্ত অভ্রগুলির ক্ষেত্রে প্রথম প্রকৃতির পুণ্ডরীক, দ্বিতীয় প্রকৃতির রোহিনীকমক, তৃতীয় প্রকৃতির  পঞ্চধারা আর চতুর্থ প্রকৃতির দ্রৌণিকম বিমান(হাওয়া জাহাজ) তৈরির ক্ষেত্রে উপযুক্ততম।
সূত্রঃ
নানু পিল্লাই, টি এন আসান, রসরাজ চিন্তামণি,
জি আর জোসিয়ার, মহাঋষি ভরদ্বাজের বৈমানিক শাস্ত্র, পণ্ডিত সুব্বারাইয়া শাস্ত্রী দ্বারা পরিক্ষিত
রামকৃষ্ণ এম ভাট, বরাহমিহিরের বৃহৎসংহিতার দ্বিতীয় খণ্ড

এছাড়াও কৃতিকা বিমান এবং ত্রিপুর বিমান তৈরির ক্ষেত্রে অভ্র পরিষ্করণের পদ্ধতি।

Saturday, June 7, 2014

Sudhansu Kumar Ray: An Artist-Craftsman of Bengal, সুধাংশু কুমার রায়

BY NIHAR RANJAN RAY, M.A., P.R.S.
(University of Calcutta)
Wood-cuts and lino-cuts as methods in creative art are recent introductions of the renascent school of art of Bengal. It is not long since the remarkable creative possibilities of this form of art-craft were recognised, and the artistic expression capable of being achieved by this process discovered by our artists. This new start of wood and lino-cut in India, frankly speaking, is the direct outcome of the most recent influences of European art in the domain of Indian art and art-craft, adapted no doubt by the highly sensitive and assimilative local genius according to Indian spirit, Indian sensibility, and Indian technique. It is really very refreshing to see our artists whose paintings, chiefly in miniature, have so long drawn mainly from the lyric sensitiveness of Ajanta or from the romantic realism of the Moghul Court painters, or from the extremely feminine tenderness of Rajput miniatures, or still more recently, from the stereotyped mannerism of old indigenous folk-art–those artists stirring out to discover fresh vistas not only of new art-forms and languages, but also of art-craft for a modern world and hence from a modern stand-point.
The art-craft of wood and lino-cut has a fascination all its own. Inherent in its method and technique is a boldness of execution which leaves out details and takes notice of broad essentials alone. There is thus a strength in its attitude as well as in its expression, and what is more, a directness which never fails to appeal or please. As the technique is most simple–cutting directly on the wood with the help of a buli or, in the case of linolium with a sharp knife, in depth and surface, resulting in sharp contrasts of black and white,–and the language without any pose or sophistication whatsoever,–there is also a clear and unfailing note of sincerity which is all the more emphasised by the extremely loving and sympathetic attitude of the artist towards his subject.
We have in Bengal a small band of young artist-craftsmen who have successfully mastered this form of art-carft. One of them is a young' Calcutta artist–brilliant and resourceful–Mr. Sudhansu Ray, now a teacher of Fine Art in the Sarojnalini Industrial School for Women in Calcutta. A student of Mr. Ramendra Nath Chakravarty at the Andhra Jatheeya Kalasala, Masulipatam, Mr. Ray received his first lessons in this particular art-craft at the hand of Mr. Chakravarty. There he received the very kind help and patronage of Dr. Pattabhi Sitaramayya and Mr. Ramakotiswara Rao, then Vice-Principal of Andhra Jatheeya Kalasala (now Editor, Triveni), but for whom his youthful, enthusiastic work might have met with a set-back. Later on, he joined the Indian Society of Oriental Art in Calcutta where his merits were readily recognised. Here he was awarded the first prize in 1931 as well as the first Gold Medal of the Fine Arts Exhibition of the Calcutta University Institute in 1931 and 1932, all for wood-cuts.
Mr. Ray is equally at home and effective in his landscape works as well as in his portraits. His trees and landscapes are faithful in artistic expression and often characterised by a soft tenderness and sympathy, and a marvellous touch of simple homeliness. The composition is almost always convincing and the treatment of contrasts in black and white is direct in its visual effect. His portraits are bold and full of character brought out by easy effort and simple detail.
Of the wood and lino-cuts reproduced here, one is a landscape–a lino-cut depicting" a corner of Calcutta." Calcutta is perhaps the youngest of the metropolitan cities of the world, but young though she is, she can well pride herself on her lovers who choose to kiss her into a realm of light and glory, beauty and mystery. Here straight lines and angles dominate, "brick is piled on brick and man-worm is interstitched in between." and yet she invites artists to turn her into golden. The reality of the scene can hardly be questioned; the tree shorn of its leaves, the houses in their lines and augles are so faithful in artistic expression that they at once go straight to our mind and heart. There is a sensitiveness in the treatment of the contrasts in black and white, and they are very strictly spaced in a convincing composition.
Of the two portraits, that of "A Girl" is a fine example of character-exposition by a minimum but robust and effective economy of effort. The contrast in black and white is most lovely in effect which is heightened by a mellowness of touch born of an intense sympathy which the artist feels for the subject.

Mr. Ray intends bringing out an album of his works in wood and lino-cuts. It is hoped that art-lovers in our country as well as abroad will appreciate our artist's first efforts in this line and express their heartiest wishes for his future distinction, as does the present writer.
http://yabaluri.org/TRIVENI/CDWEB/SudhansuKumarRayAnArtistCraftsmanofBengalsept32.htm 

Friday, June 6, 2014

অভ্রকম(হীরা)২, Abhrakam2

যে অভ্রম সফট, মোটা পাতযুক্ত, lustrous, ভারি, এবং স্তরগুলো সহজে আলাদা করা যায়, সেগুলি ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু ব্যবহারের আগে সেগুলোকে পরিশোধন করতে হবে।
পরিশোধিত অভ্র নানান রোগ উপশম করতে পারে। অভ্রকে সেবনে দেহ শক্ত হয়, স্ফূর্তি বাড়ে,যৌবনাবস্থা বৃদ্ধি পায়। সন্তানেরা বীর্যবান হয়, প্রখ্যাত হয়। নিদানমত অভ্র সেবন করলে মৃত্যুর ভয় থাকে না।

ধান্যভ্রক বিধি
পরিশোধিত অভ্রের সঙ্গে একচতুর্থাংশ পরিমাণে ধান মিশ্রণ করে একটি কাপড়ে মুড়ে তুষের জলে তিন দিন ধরে ডুবিয়ে রাখতে হবে। ভিজে মিশ্রণটি যখন নরম হয়ে যাবে তকন হাতের তালুর সাহায্যে শক্তি প্রয়োগ করে তাকে গুঁড়ো করতে হবে। ঐ পাত্রে অভ্রমের গুঁড়ো পড়ে যাবে। যতক্ষণনা সামগ্র অভ্রম গুঁড়ো পাত্রে না পড়ে যাচ্ছে ততক্ষণ ধরে এই গুঁড়ো করার প্রক্রিয়াটি চলতে থাকবে। তুষের জল থেকে অধঃপতিত অভ্রটি ছেঁকে বার করে নিতে হবে। এনে বলে ধান্যভ্রকম।
এই ধান্যভ্রকম পেশাই করে মাদার গাছের রসে সঙ্গে সারাদিন ধরে মিশিয়ে রেখে দিনের শেষে পেতে বিছিয়ে দিতে হবে। এই বিছানাকে মাদার গাছের পাতা দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। একে আবার নিয়ে নতুন করে মাদার রসে গুঁড়ো করতে হবে। অভ্র গুঁড়োকে বটের মূলকে ফুটিয়ে বার করা কাথ্বর সঙ্গে মিশিয়ে আবার নতুন করে ফুটিয়ে তাতে হাওয়া দিতে হবে। এই স্ল্যাকিং পদ্ধতিটি (গুঁড়ো হওয়া দ্রব্য যখন আর্দ্র হলে ঝরে পড়ে)তিন বার চলবে। এবারে অভ্রমকম ধুলোয় পরিণত হবে। এর বহু ব্যবহার রয়েছে। তার একটি ওষুধ তৈরি। বহু রোগ উপশম করে, আয়ু বাড়ায়, যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করে।
পুরুষ প্রকৃতির অভ্রম সমসত্ত্ব প্রকৃতির, শেষের দিকে কোণাকার, খুব উজ্জ্বল, বিন্দুমাত্র ছোপ বিহীন। স্ত্রী অভ্রতে ছোপ রয়েছে, দাগও থাকতে পারে, অনেকটা ষড়ভূজাকৃতির। পুরুষাকার অভ্রম ওষুধ তৈরিতে খুব ব্যবহার হয়। প্রায় সব রোগের উপশম করে এবং যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করে। স্ত্রী প্রকৃতির অভ্র স্ত্রীদের শরীরে ব্যবহার করতে হবে। মহিলাদের শরীরের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে কাজে লাগে এই ধরণের অভ্রম। নপুংশক প্রকৃতির অভ্র খুব বেশি ব্যবহার নেই। সংশ্লিষ্ট প্রকৃতির অভ্র সংশ্লিষ্ট মানুষেরা ব্যবহার করলেই উপকারের মাত্রা বাড়বে। তবে পুরুষ প্রকৃতির অভ্র যে কেউ ব্যবহার করতে পারেন। তাতে কাজে স্ফূর্তি বাড়বে। বরাহমিহির তাঁর বৃহতসংহিতায় বলেছেন বজ্রমকে ওষুধের কাজে ব্যবহারের আগে অবশ্যই পরিশোধন করে নিতে হবে।

অভ্রকম(হীরা)১, Abhrakam1

অভ্রকম – বজ্র, হীরা, খনিজ অভ্র
আভিধানিক আর্থ যা মেঘের মত দেখতে। অভ্রকমের জন্ম মহর্ষি দধিচির হাড় থেকে। দধিচি, বৃত্রাসুরকে নিধন করতে নিজের হাড়ে বজ্র তৈরি করে ইন্দ্রকে উপহার দেন। বিপুল শব্দ সৃষ্টি করে বজ্র আকাশে উড়ে যাবার সময় যে স্ফুলিঙ্গ জ্বলে ওঠে, সেই ফুলকি পর্বতের ওপরে ছড়িয়ে যায়। সেই ফুলকি আদতে অভ্র। মেঘের ওপর থেকে বিপুল শব্দ করে পাহাড়ে পড়েছিল, তাই তাঁর নাম অভ্রকম। আর যেহেতু আকাশ থেকে পড়েচিল তাই তাঁর নাম গগণম।
আভ্রকমকে ২২ ধরণের মাণিক্যে বিভক্ত করা যায়, হীরা(অভ্রকম), স্যাফায়ার, রুবি, এমারেল্ড, এগেট(agate), ব্লাড স্টোন, beryl, amethyst, vimalaka, royal gem(quartz), crystal, moon-gem, sugandhika, opal, conch, azure stone, topaz, brahma-gem, jyotirasa, sasyaka, pearl and coral. এই ক’টির মধ্যে চারটি আতীব গুরুত্বপূর্ণ হীরা,  pearl, রুবি এবং এমারেল্ড।

অভ্রকম চারটি রঙের হয়ে থাকে- সাদা, লাল, হলুদ আর কালো। সাদা অভ্রকম রূপা তৈরিতে কাজে লাগে। লাল অভ্রকম কিমিয়াবিদ্যায় ব্যবহার হয়, স্বর্ণ তৈরিতে হলুদ অভ্রকম ব্যবহার হয় আর কালো ব্যবহার হয় ওষুধ তৈরিতে। এবং কালো অভ্রকমএর ব্যবহার বহুবিধ। কাল অভ্রকমএর প্রকার চার রকমের - দর্দুরম, নাগম, পীণাকম আর বজ্রম। কোনটি কোন অভ্রকম, তা নির্ণয় করা হয় পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে। এবং তা জেনে বুঝে করতে হয়। আগুণে দিলে যদি অভ্রকম ব্যাঙের মত আওয়াজ করে তাহলে তাকে দর্দুরম বলা হবে। যদি সাপেরমত শব্দ প্রকাশ করে তালে তার নাম হবে নাগম। যদি তীরের জ্যাএর মত আআওয়াজ করে তাহলে এর নাম হবে পীণাকম আর আগুণে দিলেও যদি কোনও বিক্রিয়া না করে তাহলে তাহলে তাঁর নাম হবে বজ্রম। বজ্রমেরই একমাত্র ওষুধেরগুণ রয়েছে। ভারতের উত্তরভাগের পর্বতগুলোতে প্রাপ্ত বজ্রকমের প্রকৃতি উজ্জ্বল এবং গুণ বহুবিধ। কিন্তু দক্ষিণের পর্বতের বজ্রকমের সম্বন্ধে সে কথা বলা যায় না। 
ভারতীয় বিজ্ঞান মঞ্জুষা বই থেকে

The Artisan Cast of West Bengal And Their Craft - Sudhansu Kumar Ray4, গ্রাম শিল্পী এবং তাদের শিল্প - সুধাংশু কুমার রায়৪

এই বিষয়ে মোটামুটি জানতে গেলে প্রথম পোস্ট আর আগামী মাসের পরম দেখুন।





The Artisan Cast of West Bengal And Their Craft - Sudhansu Kumar Ray3, গ্রাম শিল্পী এবং তাদের শিল্প - সুধাংশু কুমার রায়৩

এই বিষয়ে মোটামুটি জানতে গেলে প্রথম পোস্ট আর আগামী মাসের পরম দেখুন।




The Artisan Cast of West Bengal And Their Craft - Sudhansu Kumar Ray২, গ্রাম শিল্পী এবং তাদের শিল্প - সুধাংশু কুমার রায়২

এই বিষয়ে মোটামুটি জানতে গেলে প্রথম পোস্ট আর আগামী মাসের পরম দেখুন।






The Artisan Cast of West Bengal And Their Craft - Sudhansu Kumar Ray1, গ্রাম শিল্পী এবং তাদের শিল্প - সুধাংশু কুমার রায়১

সুধাংশু কুমার রায় অসাধারণ এক পথিকৃৎ। প্রায় ৭০ বছর আগে প্রবীণ অশোক মিত্র মশাই যে আদম সুমারী নির্বাহ করেন, সেই কাজের সমীক্ষার জোড়া পাতায় ছিল সুধাংশু কুমার রায়ের প্রায় ৭০ পাতার একটি প্রতিবেদন শির্ষক ছিল ওপরের ইংরেজি লেখাটি। সেই সমীক্ষার মুখবন্ধে মিত্তিরজা ইঙ্গিত দেন, রায়জা মূল লেখাটি বাংলায় লিখেছিলেন। সেটি ইংরেজি অনুবাদ করে মিত্তিরজা সেই আদম সুমারীর সমীক্ষার জোড়া পাতায় পেশ করেছিলেন। এই লেখাটি লোকফোকের হাতে আসে বালির সুহৃদ শৈবাল দত্তর মার্ফত। দত্তজারই প্রায় বিষ্মৃতির অতল থেকে রায়জা কে তুলে নিয়ে আসেন। দত্তজা প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত কালধ্বনি পত্রিকার সেটি দুটি খণ্ডে প্রকাশ করছেন। মূল জোড়াপাতাটি দত্তজার সৌজন্যে প্রাপ্ত। সেটির প্রত্যেক পাতা তাঁর থেকে যেমন পেয়েছি তা তুলে দিলাম পাঠকের দরবারে। বেশি বাগবিধি বিস্তার বা করে আপনারা আস্বাদন করুন সেই লেখা। আরও কিছু জানতে যোগাযোগ করুন শৈবাল দত্তর সঙ্গে  saibalbally56@gmail.com






Thursday, June 5, 2014

বাংলার পুতুল৬ Dolls of West Bengal6

রঙ্গিন পুতুল
পটুয়ারা ছাড়া, বাংলার নানান এলাকায় কুম্ভকার সমাজ এবং অন্যান্য সম্প্রদায় পুতুল তৈরি করেন। বীরভূমের রাজনগরের কুম্ভকার সম্প্রদায় বৌ পুতুল, কলসি কাঁখে পুতুল, প্রট্মোটা আহ্লাদি পুতুল, নানান ধরণের খেলনা, পাখি পুতুল ছাড়াও কৃষ্ণ-রাধা ইত্যাদি। হুগলির তারকেশ্বরে ক্ষুদ্রাকৃতি টেপা পুতুল তৈরি হয়। সেগুলির উজ্জ্বল নীল, সবুজ, হলুদ রঙ ব্যবহার হয় ডোরা কেটে দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বা পরিধেয় স্পষ্ট করার কাজে।
মজিলপুর বাংলার খুব একটি পুরনো জনপদগুলির মধ্যে অন্যতম। এর শিক্ষা-শিল্প ঐতিহ্য প্রায়আপ্রতিদ্বন্দ্বী। সম্প্রতি প্রয়াত পাঁচুগোপাল দাস এলাকার নানান সাংস্কৃতিক চাহিদামত বিভিন্ন দেবদেবীর পুতুল, দক্ষিণরায়, বনবিবি, গণেশ জননী, জগ্ননাথ-বলরাম-সুভদ্রা, ক্লসি কাঁখে বৌ, আহ্লাদি পুতুল, জমিদার পুতুল, নর্তকী ইত্যাদি করতেন। তিনি তাঁর পিতা মন্মথ দাসের ঐতিহ্য বহন করে চলতেন। আজ তাঁর পুত্রও সেই কাহ করে থাকেন। তারাপদ সাঁতরা বলছেন, একদা বারুইপুর, শিবানীপুর, বড়িশা ইত্যাদি এলাকায়ও নানান ধরণের রঙ্গীন পুতুল তৈরি হত।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে পোড়ামাটি রঙ্গিন পুতুল তৈরি হত। নদিয়ার নবদ্বীপে বুড়োশিবের সর্প ফনাযুক্ত, কানে কলকে ফুল গোঁজা মুণ্ড মুর্তি তৈরি হয় আজও। বাসন্তী পুজোর সময় পার্বতীর সঙ্গে শিবের বিয়ে দেন স্থানীয়রা। শিবের মুণ্ডে রঙএর পরিকল্পনা দেখার মত।
মুর্শিদাবাদের কাঁদি এলাকার গোয়ালিনী পুতুল উল্লেখ্য। পুতুলের দেহ কুম্ভকারেরা চাকে তৈরি করে হাতে টিপে টিপে মুণ্ড আর হাত তৈরি করেন। একটি হাত মাথায় থাকে। গোটা পুতুলের দেহে রূপোলি রঙের প্রলেপ দেওয়া হয়। তাঁর ওপরে কাল আর লাল আঁচড়ে কাপড়ের ভাঁজ আর গয়নার চিহ্ন বোঝানো হয়ে থাকে।
পুরুলিয়া বাঁকুড়াসহ জঙ্গল মহলে টুসুর সময় মাঝারি গোছের রঙ করা ও রঙ্গিন কাগজ সাঁটা টুসু পুতুল বাজারে ওঠে। তারাপদ সাঁতরা বলছেন এই পুতুল অনেকটা নতুন গ্রামের পুতুলের আঙ্গিকের সঙ্গে মেলে।

একদা কুমোরটুলি আর কালিঘাটে বেশ কিছু রঙ্গিন পুতুল তৈরি হত। 

Wednesday, June 4, 2014

বাংলার পুতুল৫ Dolls of West Bengal5

 বাংলার নানান ধরণের শিল্পী-উৎপাদক তাঁদের কাজে বিপুল পরিমাণে উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দিয়েছেন যদিও আজকের কেবলই বিদ্যুৎ চালিত হাতিয়ার/যন্ত্র নির্ভর যুগে যন্ত্রের ওপরে নির্ভরতাকেই দক্ষতা রূপে গণ্য করা হয়ে থাকে। হাত, জ্ঞান বা সায়িক দক্ষতা চলে গয়েছে পর্দার পেছনে। এ এক দীর্ঘ আলোচনার বিষয়। এই বিষয় নিয়ে বারান্তরে কথা বলা যাবে যদি সুযোগ মেলে।
রঙ তৈরি করা হয় ভূষোকালি, তুঁতে, মেটে সিঁদুর, হ্রিতাল, এলামাটি, গোরিমাটি, কাঠকড়ি আলতা এবং এরকম নানান রঙ্গীন দ্রব্য দিয়ে। রঙ ভালভাবে ধরানোর জন্য তেঁতুল বিচির কাই, বেলের।নিমের আঠার প্রলেপ দেওয়া হয়। উৎপাদকেরাই মাথায়/বাঁকে ঝাঁকায় নিয়ে নানান মেলা উতসবে এই পুতুল ফেরি করতে যান। একাধারে এরা যেমন প্রযুক্তির ধারক বাহক, উৎপাদক আবার তেমনি এরা নিজেদের উৎপাদন বিক্রি করাতেও দক্ষ। তারাপদ সাঁতরা তিন দশক আগের এক লেখায় বলছেন পুতুল তৈরি করা এতই খরচ সাপেক্ষ হয়ে পড়েছে যে, শিল্পীরা আর পুতুল পোড়াচ্ছেন না। শুকনো মাটির ওপরে রঙ করে দিচ্ছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের নাড়াজোলের পুতুল আজো তার আকর্ষণ বজায় রেখেছে, তার ঐতিহ্যমণ্ডিত গড়নশৈলী, তার রঙের ব্যবহার, তার নিজস্বতা দিয়ে(পুতুলগুলোর ছবি দেখা যাবে http://lokfolk.blogspot.in/2012/01/blog-post_492.html ব্লগে)। এছাড়া মেদিনীপুরের নির্ভরপুর, শিউরি, কেশববাড়, চৈতন্যপুর, নয়ঁআ, গোল্গ্রাম, হবিচক, মুরাদপর আর মাদপুরে নানান ধরণের পুতুল পাওয়া যায়। একদা হাওড়ার চণ্ডীপুর, লিলুয়ার পট্টুয়ারা পুতুল করতেন।

হুগ্লি জেলার পুইনান, তালচিনান, মোড়া, দক্ষিণ চব্বিশপরগ্ণার কংকণবেড়ে, বাঁকুড়াএ বেলেতোড়, গগরা, বীরভূলের পাকুরহাসের পটুয়ারা একদা পুতুল তৈরি করতেন। 

বাংলার পুতুল৪ Dolls of West Bengal4

পটুয়া-চিত্রকরদের পুতুল
কাঠের পুতুল ছাড়া যে বিশেষ পুতুলটি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেটি হল পটুয়াদের পোড়ামাটির পুতুল। মেদিনীপুরের(এর সঙ্গে তারাপদ সাঁতরা বলছেন হাওড়ার) চিত্রকরেরা বহু পুরনো পুতুল গড়ার ধারা আজও ধরে রেখেছেন আসম্ভব দক্ষতায়। মেদিনীপুরের প্টুয়ারা আজও পট আঁকেন পুতুলও তৈরি করেন।
পটুয়া মহিলা চিত্রকরেরা যে সব পুতুল তৈরি করেন তা সব ছ্যাঁচে ফেলা। তবে হাতে টিপে টেপা পুতুলও তাঁরা তৈরি করেন। সেসব পুতুলে থাকে নানাবিধ রঙের প্রলেপ। এই পুতুলগুলোর নামও বেশ কৌতুহল জাগায় যেমন শিলেট পুতুল, হিংলি পুতুল, মুখোশ পুতুল, বড়ো পুতিল, ঝুমঝুমি  পুতুল ইত্যাদি। হিংলি পুতুল তৈরি হয় হাতে টিপে। দেওয়ালের গায়ে ঝুলিয়ে রাখা পুতুলগুলোকে শিলেট পুতুল বলে, মুখোশ পুতুল নানান আকারের ছোট বড় দুরকমই হয়। বড়গুলো ২৫ সেমি প্ররযন্ত হয়ে থাকে। শেষ দুটো পুতুল ঘর সাজানোর জন্য তৈরি হয়।
প্টুয়া রমণীরা যেসব পুতুল তৈরি করেন তার মধ্যে রয়েছে নানা রকমের মাছ, পশু, পাখি, দেব্দেবীর মুখোশ। তৈরি করেন রুই থেকে চিংড়ি প্রায় সব ধরণের মাছ, বিড়াল, বাঘ, হাতি, গরু, ময়ূর, টিয়া পাখি, দাঁড়ে বসা জোড়া পাখি, কলসি কাঁখে বৌ, স্ত্রী পুরুষের মুখোশ, রামকৃষ্ণ, লক্ষ্মী, সরস্বতী, ষষ্ঠী, শিবদুর্গা, কালী, দুর্গা, মোহান্ত, সাধু ইত্যাদি। হিংলি পুতুলের মধ্যে সবথেকে ভাল লাগে কোলে, ছড়ানো পায়ের ওপরে রাখা সন্তান।
পুতুলগুলো বেশ হাল্কা করে তৈরি করা হয়। এবং এর পদ্ধতি বেশ আকর্ষণীয়। হালকা করার দরকার কেননা এগুলোকে দূর-দূরান্তে নিয়ে বিক্রি করতে হয়। হালকা করে গড়ার পদ্ধতি হচ্ছে, কাদার মণ্ডটি বেলে রুটির মত করে তারপর হাতের আঙ্গুলের মোড়কে নানান রূপ দেওয়া হয়(কোনোদিন সুযোগ হলে এ নয়ে বিশদে বলা যেতে পারে।)।

Monday, June 2, 2014

Construction Materials10, বাড়ি তৈরির সরঞ্জাম১০

কাটা গাছটিকে আবশ্যই পূর্ব-পশ্চিমের দিকে ফেলতে হবে। গুঁড়িটিকে সোজা করে দাঁড় করিয়ে কাটা দরকার। গাছটি পড়ার সময় যদি গাছের ছাল ছড়িয়ে না যায়, বা গুঁড়িটি ভেঙে না যাওয়াটি শুভ রূপে ধরে নেওয়া হয়। এটি হলে গাছের মালিক ধনী হন। যদি গাছ কাটার সময় গাছের শীর্ষ আগে মাটি স্পর্শ করে ডালপালা ছড়িয়ে যায় উত্তর-দক্ষিণে এবং গুঁড়ি কিছুটা ওপরে উঠে যায়, সেটি খুবই অশুভ লক্ষণ। গুঁড়িটি অন্য যে কোনও ভাবে পড়াকে অশুভ বলে ধরে নেওয়া হয় না। তবুও ততটা শুভ নয়। গাছটি পড়ার সময় যদি অন্য গাছকে ধাক্কা মারে তাহলেও সেই লক্ষ্মণ আশুভ নয়। গাছ পড়ার সময় যদি গুড়িটি সরে যায় তাহলে সেটি খুবই দুর্লক্ষণযুক্ত ঘটনা। গাছটি পড়ার সময় যদি ভেঙে যায় সেটিও অশুভ হিসেবে মান্য করা হয়, ধরে নেওয়া হয় যে আগামী সময়ে নানান কাজে বাধা আস্তে যাচ্ছে।
গাছ কাটার কাজটি নিয়ম মেনে করতে হবে। গুঁড়িটিকে চার পাশে সমান করে কেটে চৌকো করে তোলা দরকার। গুঁড়ি চৌকো করে কাটার পর সেটিকে সাদা কাপড়ে জড়িয়ে প্রয়োজনীয় শকটে চড়িয়ে কাজের স্থানে সতর্কভাবে বহন করে নিয়ে যাওয়া উচিত। মন্দির বা প্রাসাদ তৈরির উদ্দেশ্যে যে গুঁড়ি কাটা হচ্ছে সেটিকে হাতি বহন করে নিয়ে যেতে হবে। অন্য নানান স্থাপত্য বিষয়ে নানান বাহন এমনকি মানুষকেও বাহক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।কাজের যায়গায় বালির স্তুপ তৈরি করে সেই গুড়িগুলোকে মাথার দিকটি উঁচুর দিকে করে রাখতে হবে। কোনও ভাবেই সেই অবস্থার পরিবর্তন করা যাবে না। সেই অবস্থায় রেখেই করাত ব্যবহার করে প্রয়োজন অনুযায়ী ৮, ৫ বা ৩ টুকরোয় ভাগ করতে হবে।
মৃল্লোষ্টক(ছাদের টালি)
ইট তৈরি করার মাটি যেভাবে প্রস্তুত হয়, সেই ভাবেই কাদা কাদা করে লেই তৈরি করে রাখতে হবে। এই লেইটির নাম মৃৎসন। এই ধরণের কাদা মাটি দিয়েই ছাদের টালি তৈরি করতে হয়।

বিভিন্ন প্রকারের লোষ্টম এবং তাদের পরিমাপ – ১। নিপ্রালোষ্টম ২। অর্ধলোহষ্টম ৩। তুর্যাশ্রম ৪। কুরালোষ্টম ৫। আস্পালোষ্টম(দ্বয়াষ্ট্রম) ৬। কীলালোষ্টম ৭। কৃশাগ্রলোষ্টম ৮।  স্তুলোগ্রালোষ্টম ৯। কোণালোষ্টম ১০। পোতালোষ্টম।